জেন্ডার
বিশ্বের প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী নারী। নারী, পুরুষ, মেয়ে ও ছেলে প্রতিবন্ধীদের প্রতি বৈষম্যের মূল কারণগুলো চিহ্নিত ও নির্মূল করা বা অবসানের জন্য কীভাবে প্রতিবন্ধিতা ও জেন্ডার (সামাজিক লিঙ্গ পরিচয়) পরস্পরকে ছেদ করে বা একবিন্দুতে এসে মিলিত হয় সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া ও বোঝার দরকার রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে এবং সংঘাতময় পরিস্থিতিতে প্রায়ই দেখা যায় সমাজে বিদ্যমান লিঙ্গ পরিচয় বা জেন্ডার ধারণার ভিত্তিতে বৈষম্য আরো বাড়ে এবং এই সময়গুলোতে যদি যদি বিশেষভাবে বা সুনির্দিষ্টভাবে মনোযোগ না দেয়া হয় তাহলে নারীরা পিছিয়ে পড়তে পারে এবং তারা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েরা অ-প্রতিবন্ধী নারী ও মেয়েদের তুলনায় তিনগুণ বেশি জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি)-র শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তাছাড়া জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিবন্ধিতা-ভিত্তিক বৈষম্য দ্বারা আরো জটিল হয়ে উঠে। নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা জরুরি পরিস্থিতি চলাকালে এবং পরে প্রায়ই বাড়তে দেখা যায়।
আপনার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার কর্মসূচিতে বাধাগুলো দূর করার লক্ষ্যে এবং নারী ও মেয়ে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য মৌলিক উপাদানগুলো প্রয়োগ করা যেতে পারে:
- এটি নিশ্চিত করুন যে আপনার নেয়া প্রতিটি পদক্ষেপ বা কার্যক্রমের মাধ্যমে সকলের সুনির্দিষ্ট ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদাগুলো পূরণ করা হবে: নারী ও মেয়ে প্রতিবন্ধী এবং তাদের সংগঠনগুলোর সাথে কথা পরামর্শ করুন;
- আপনার প্রাথমিক যাচাই বা মূল্যায়নে আপনার প্রেক্ষাপট ও কার্যক্রমের জেন্ডার সমতা ও বৈচিত্র্য বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করুন;
- নারী প্রতিবন্ধীদের বাদ পড়ে যাওয়ার প্রধান বা মূল ঝুঁকির কারণগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকুন:
- যে মেয়েরা ও নারীরা বধির কিংবা যাদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা কিংবা মনো-সামাজিক প্রতিবন্ধিতা কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তারা বাদ পড়ার ও সহিংসতার শিকার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন,
- প্রতিবন্ধী নারীদের বিচ্ছিন্নকরণ,
- মৌলিক সেবাগুলো যেমন: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা কিংবা খাদ্য এবং খাদ্য নয় এমন সামগ্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে যে অসুবিধাগুলো আছে সেগুলো সমাধানেও কাজ করতে হবে।
- কর্মীদের প্রতিবন্ধিতা ও জেন্ডার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিন।